বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩
0 মন্তব্য(গুলি)

গুগুল ব্লগ-পর্ব-২

৮:৫৬ AM

  আজ আমরা ব্লগ-সংক্রান্ত টুলস্ গুলোর পুরোপুরি ব্যবহার সম্পর্কে জানব।

প্রথমে আমাদেরকে ব্লগার ড্যাসবোর্ডে যেতে হবে। ব্লগার ড্যাসবোর্ডে যেতে www.blogger.com -এ ভিজিট করুন। যদি সাইন ইন করা না থাকে বা, সাইন ইন এর প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার ই-মেইল এড্রেস ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন। তারপর আপনি ব্লগার ড্যাসবোর্ড দেখতে পাবেন।

এবার More options -এ যান।(উপরের ছবিটি তে তীর চিহ্ন দ্বারা More options এর অবস্থান দেখানো হয়েছে) মনে রাখবেন ব্লগের সমস্ত টুলস্ গুলো এখানেই রয়েছে। More options এর পাশে Veiw blog এ ক্লিক করে আপনি আপনার ওয়েব সাইট টি দেখতে পারবেন।(যেহেতু আপনি এখনো কোন পোষ্ট করেন নি, সেহেতু আপনি আপনার ওয়েব সাইট টি খালি দেথতে পাবেন। যাইহোক, আমরা একে একে প্রত্যেকটি টুলস্ এর ব্যবহার সম্পর্কে জানব।
মূলত More options -এ ক্লিক করলে আমরা নিম্নের অপশনস্ গুলো দেখতে পাব। এছাড়া এসব অপশনস্ এ ক্লিক করে আমরা পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত অপশনস্ চূজ করতে পারব।
1. Overview: এখানে গিয়ে আপনি Pageviews দেখতে পারবেন। পাশাপাশি এখানে আপনার ব্লগের ভিজিটরদের সম্বন্ধে বিভিন্ন তখ্য পেতে পারেন।
2. Posts: এখানে গিয়ে আপনি আপনার পোষ্টগুলো দেখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যেকোন ড্রাফট্ পোষ্ট কে এখান থেকে পাবলিশ করতে পারবেন। ইচ্ছা করলে আপনার প্রকাশিত যেকোন পোষ্ট অথবা একত্রে অনেকগুলো পোষ্টকে ডিলিট করতে পারবেন। অনেকগুলো পোষ্টকে ডিলিট করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে পোষ্টগুলো মার্ক দিতে হবে। এর জন্য প্রতিটি পোষ্টের পূর্বে থাকা বক্সে ক্লিক করলে উক্ত পোষ্টটি মার্ক হবে। Posts পেজের ডানদিকে একাধিক পেজের যাওয়ার অপশনস্ রয়েছে। তার পাশে সর্বশেষ উক্ত পেজ-এ কয়টি পোষ্ট দেখানো হবে, সেই অপশনস্ টি রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে এখানে ক্লিক করে এর পরিবর্তন করতে পারেন।
3. Pages: এখানে ওয়েব সাইটের সবগুলো পেজ দেখানো হয়। আপনি ইচ্ছে করলে New page এ ক্লিক করে যেকোন নতুন পেজ নিতে পারবেন। New page এ ২টি অপশনস্ রয়েছে, একটি হল Blank page এবং অপরটি হল Web address. Blank page নিতে চাইলে এর উপর ক্লিক করে পেজের নাম দিয়ে পেজটি সেইভ করুন। আপনি ইচ্ছে করলে html এ ক্লিক করে আপনার পছন্দমত করে পেজটি তৈরি করতে পারবেন। আপনি যদি কোন ওয়েব পেজের এড্রেস দিয়ে পেজ তৈরি করতে চান তাহলে Web address এ ক্লিক করে সেখানে পেজের টাইটেল-এ পেজের নামটি এবং Web address(url)-এ আপনার পেজের url টি দিয়ে সেইভ করুন। এছাড়াও আপনি আপনার নেয়া প্রতিটি পেজের নিচে Edit, view এবং delete অপশনস্ গুলো দেখতে পাবেন। Show pages as এর ডানে কয়েকটি অপশনস্ রয়েছে। এগুলো দ্বারা আপনি আপনার পেজকে ইচ্ছেমত কনফিগার করতে পারবেন। হোমপেজে কোন পেজকে যদি দেখাতে না চান তাহলে Don’t show সিলেক্ট করুন। আপনি চাইলে Top tabs ও side links দিয়ে আপনার পেজগুলোকে দুইভাবেই সাজাতে পারবেন। অবশ্যই আপনার কাজ শেষ হওয়ার পর উপরের ডান পাশে থাকা Save arrangement এ ক্লিক করতে ভূলবেন না যেন। কেননা, আপনি যদি এটা না করেন তাহলে আপনার করা কাজগুলো মোটেও সেইভ হবেনা। ফলে আপনার ওয়েব সাইটে এর কোন পরিবর্তন দেখতে পাবেন না। সুতরাং প্রত্যেকবার কাজ করার সময় Save arrangement এ ক্লিক করে আপনার কাজগুলো সেইভ করে নিবেন।
4. Comments: এখানে আপনি কমেন্টস্ গুলো দেখতে পারবেন।
5. Google+: এটা হল গুগুলের জনপ্রিয় একটি সার্ভিস। এই ফিচারের দ্বারা গুগুলের একটি বিশাল কমিউনিটি রয়েছে। যাইহোক, আপনি এটাতে গিয়ে ২টি অপশনস্ খুজে পাবেন। একটি হল- Prompt to share after posting? (আপনি এর পূর্বে থাকা বক্সে ক্লিক করলে আপনার প্রতিটি পোষ্ট আপনার Google+ একাউন্টে ও পাবলিশ হবে। যখন আপনি কোন পোষ্ট পাবলিশ করতে যাবেন তখন এর নাটিফিকেশন আসবে। আর যদি আপনি এটা না চান তাহলে বক্সে ক্লিক করে মার্ক সাইন টি উঠিয়ে দিন।) অপরটি হল- Use Google+ Comments on this blog? (এর পূর্বে থাকা বক্সে মার্ক দিলে Google+ Comments গুলো আপনার ব্লগে প্রকাশিত হবে।
6. Stats: এখানে আপনি আপনার ব্লগের ভিজিটরদের গ্রাফ দেখতে পাবেন। এছাড়াও আপনি এখানে ট্রাফিক সোর্স সহ আপনার ব্লগে ভিজিট করা ভিজিটরদের হিস্টোরি দেখতে পাবেন।
7. Layout: এখানে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের বিভিন্ন লে-আউট গুলো দেখতে পাবেন। আপনি ইচ্ছে করলে এগুলো কে আপনার ইচ্ছেমত করে সাজাতে পারেন। আপনি যদি কোন নতুন গেজেট যোগ করতে চাইলে তাহলে প্রথমে আপনি গেজেট টি যেখানে যোগ করতে চান সেখানে গিয়ে add a gadget এ ক্লিক করুন। তারপর যে ধরনের গেজেট আপনি যোগ করতে চান সে ধরনের গেজেট নির্বাচন করুন। উল্লেখ্য যে, যদি আপনি html or, javascript-এ গেজেট তৈরি করতে চান তাহলে সেটাকে সিলেক্ট করে কোড দিয়ে সেইভ করে নিন। যেহেতু এটা একটা বিস্তারিত বিষয়। সেহেতু এই বিষয় টা নিয়ে পরবর্তীতে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
8. Template: টেমপ্লেট দ্বারা আপনি আপনার হোমপেজকে আকর্ষনীয় ভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন। পরবর্তীতে আমরা এ-বিষয়ে বিস্তারিত জানব।
9. Settings: এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের সেটিংস গুলো পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। সেটিংস এর কিছু অপশনস্ রয়েছে এগুলো আমরা পেজের নিচের বাম অংশে দেখতে পাব। প্রথমে আমরা Basic অপশনস গুলো জেনে নিব।
* Basic-এ আমরা Title, Description, Privacy অপশনস্ গুলো দেখতে পাব। Title-এ আমরা যে নামটি দিব সেটা আমাদের ওয়েব সাইটের উপরের টাইটেল অংশে দেখতে পাব। Description-এ আপনার ওয়েব সাইট সম্পর্কে বর্ননা দিতে পারেন। Privacy-তে আমরা- Listed on Blogger. এবং Visible to search engines এই দুটি অপশনস্ দেখতে পাব। আপনি যদি আপনার ব্লগ টি ব্লগার লিস্টে রাখতে চান তাহলে Listed on Blogger এ Yes দিন। এছড়া আপনি যদি আপনার ব্লগকে সার্চ ইন্জিনে দেখাতে চান তাহলে Visible to search engines এ Yes দিন। তারপর Save changes-এ ক্লিক করুন। ডিফল্ট ভাবে এগুলো Yes দেয়া থাকে।
Publishing-এ আমরা আমাদের ব্লগ এড্রেস টি দেখতে পাব। এছাড়া যদি আমরা নতুন ভাবে কোন ডোমেইন কিনে থাকি তাহলে আমাদের এই সাইট টি + Add a custom domain এ ক্লিক করে নতুন ডোমেইন-দিয়ে সেটাকে পাবলিশ করতে পারব।
Permissions-এ আমরা Blog Authors এবং Blog Readers নামে দুটি অপশনস্ দেখতে পাব। Blog Authors দ্বারা Admin কে বুঝানো হয়। আপনি চাইলে আপনার ওয়েব সাইটের Admin এর সংখ্যা বাড়াতে পারেন। এর জন্য আপনাকে + Add authors ক্লিক করে তাদের বর্ণনা দিতে হবে। Blog Readers দ্বার যারা যারা আপনার ব্লগ পড়তে পারবে তাদের লিস্ট আপনি দিতে পারেন। ডিফল্ট ভাবে Anybody দেয়া থাকে এর ফলে যে কেউ আপনার ব্লগ পড়তে বা দেখতে পারবে।
* এবার আমরা পেজের বামপাশে Basic এর নিচে Posts and Comments এ ক্লিক করে এসব অপশনস্ সম্পর্কে জেনে নিব।
Comment Location-এ ডিফল্ট ভাবে Embedded সিলেক্ট করা থাকে আমরা চাইলে তা পরিবর্তন করে বাকি তিনটির যেকোন একটি চূজ করতে পারি।
Who can comment-এ কারা কারা কমেন্ট করতে পারবে সে অপশনস্ গুলো দেয়া রয়েছে। ডিফল্ট ভাবে Anyone সিলেক্ট করা থাকে। আপনি চাইলে তা আপনার পছন্দ মত অপশনস্ থেকে সিলেক্ট করতে পারেন।
Comment Moderation -এ ডিফল্ট ভাবে Never দেয়া থাকে, আপনি চাইলে বাকি দুটি ও এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন।
Show word verification-এ word verification দেখতে চাইলে Yes দিন, না দেখাতে চাইলে No দিন, তারপর উপরের Save setting এ ক্লিক করে সেইভ করে নিন।
এছাড়াও এর নিচে আরো দুটি অপশনস্ রয়েছে যেগুলো হল- Show Backlinks এবং Comment Form Message.
* এবার আমরা পেজের বামপাশ থেকে Mobile and email এ ক্লিক করে সে অপশনস্ গুলো দেখে নিব।
Mobile এ যে অপশনস্ টি রয়েছে তা হল- Posting using SMS/MMS. মানে, আপনি যদি মোবাইলের এস.এম.এস অথবা এম.এম.এস দিয়ে পোষ্ট করতে চান, তাহলে Add mobile device এ আপনার মোবাইল ডিভাইসটি সিলেক্ট করুন তারপর তা সেইভ সেটিং দিয়ে সেইভ করে নিন।
Email-এ Posting using email দ্বার আপনি আপনার ওয়েব সাইটের যেকোন পোষ্ট ই-মেইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। এছাড়াও এতে Comment Notification Email এবং Email posts to নামে আরো দুটি অপশনস্ রয়েছে।
* পেজের বামপাশে Language and formatting এ ক্লিক করে আমরা এর অপশনস্ গুলো দেখে নিব।
আমর যদি বাংলায় আমাদের ওয়েব সাইট তৈরি করতে চাই তাহলে Language বাংলা সিলেক্ট করে Enable transliteration কে “Enable” in “bengali-বাংলা” সিলেক্ট করতে হবে। তারপর উপরের সেভ সেটিং ক্লিক করে তা সেভ করে নিতে হবে।
Formatting -এ Time zone ক্লিক করে “(GMT+06:00) Dhaka” কে সিলেক্ট করতে হবে। তার পরের তিনটি অপশনস্ আপনার পছন্দমত চূজ করতে পারন। তবে কাজ শেষে সেভ সেটিং দিতে ভূলবেন ন যেন।
* এবার পেজের বামপাশের Search preferences-এ ক্লিক করে আমরা আমদের ওয়েব সাইটের সার্চ বিষয়-সমূহের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য দ্বারা কনফিগ করে নিতে পারি। এতে করে আমাদের ওয়েব সাইটের বিভিন্ন পোষ্ট সার্চ ইন্জনে স্থান পাবে।
* এবার পেজের বামপাশের সর্বশেষ অপশনস- Other এ ক্লিক করে এর অপশনস্ গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
Blog tools টি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্লগকে Import, Export এবং Delete করতে পারবেন। আপনার যদি পূর্বের কোন ব্লগ থাকে আর আপনি যদি সেই ব্লগের পোষ্ট-গুলোকে এই ব্লগে আনতে চান তাহলে Import blog এ ক্লিক করুন। এবার Browse এ ক্লিক করে আপনার .xml ফাইলটি কম্পিউটার থেকে সিলেক্ট করে করুন। শেষে Import blog এ ক্লিক করুন। তারপর দেখবেন আপনার পূর্বের ব্লগ-সাইটের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনার নতুন ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া Export blog এ ক্লিক করে আপনার বর্তমান ব্লগের পোষ্ট-সমূহ ডাউনলোড করে তা অন্য কোন ব্লগে Import করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার বর্তমার ব্লগটি বাতিল করতে চান, তাহলে Delete blog এ ক্লিক করে তা সহজেই করতে পারেন।
এছাড়াও এসব অপশনস্ এর নিচে- Site feed, OpenID, Adult Content এবং Google Analytics নামে আরো চারটি অপশনস্ রয়েছে। আপনি চাইলে এগুলো কে আপনার পছন্দ মত চূজ করতে পারেন।
লিখতে লিথতে পোষ্ট টি কে অনেক বড় করে ফেললাম। যাইহোক আজ এখানেই শেষ করতে হবে। আরেক টা কথা, আপনারা যদি কেউ পোষ্টের কোন অংশ বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের সে বিষয়ে সাহায্যে করব, কেননা আপনাদের সামান্যতম উপকৃত করবার জন্যই তো আমার এই ছোট্র প্রয়াস।
আগামী পর্বে আবার দেখা হবে। সেই প্রত্যাশায় এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।

 

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Toggle Footer
Top