এখানে আমি আপনাদের কে দেখাবো চিত্র সহ কি ভাবে একটি সম্পূর্ণ নতুন হার্ড ডিস্ক কে পার্টিশন করা হয়।
হার্ড
ডিস্ক এর ভিবিন্ন বিষয় গুল নিয়ে আমি আলোচনা করছি না এখন,কারন আমার আজকের
সাবজেক্ট হচ্ছে শুধুমাএ পার্টিশন নিয়ে তাই আমি শুধুমাএ এর ভিতরেই সীমাবদ্দ
রাখবো,এবং যেখান থেকে পার্টিশন এর শুরু হয় আমি ঠিক ওখান থেকেই আপনাদের
দেখাচ্ছি।হার্ড ডিস্ক কে সাধারণত ২-টি ধাপে পার্টিশন করা যেতে পারে
সবাই যাতে সহজ ভাবে বুজে নিতে পারেন তাই খুব সহজ ভাবে লিখার চেষ্টা করছি আমি।
১- হল ইউন্ডোজ সেটআপ যখন করা হয় তখন
২-হল ইউন্ডোজ সেটআপ দেওয়ার পরে
আমি আপনাদের কে ২নং ধাপ টি দেখাচ্ছি এতে হার্ড ডিস্ক পার্টিশন দেওয়া একদম সহজ এবং এর ছেয়ে সহজ কোন ধাপ নেই হার্ড ডিস্ক কে পার্টিশন দেওয়ার,এবং এই ধাপে হার্ড ডিস্ক পার্টিশন দিলে আপনার হার্ড ডিস্ক এর সম্পূর্ণ স্পেস টুকু আপনি ব্যাবহার করতে পারবেন এতে নতুনদের জন্য বেশ সস্তিধায়ক এবং নির্ভেজাল ভাবে পার্টিশন দিতে চাইলে আমার পদ্দতি অবলম্ভন করবেন, যারা পুরাতন তারা ইউন্ডোজ সেটআপ করার সময় পার্টিশন করে ফেলেন, এবং এ ক্ষেএে একটু কারচুপি হয় কারন ইউন্ডোজ সেটআপ টাইমে যখন পার্টিশন তৈরী করেন তখন ৪-টি বা তার ছেয়ে বেশি পার্টিশন তৈরী করতে গেলে সম্পূর্ণ হার্ড ডিস্ক কে,এতে আপনার কিছুটা স্পেস অব্যাবহারিত থেকে যায় এবং বাকি যে হার্ড ডিস্ক টুকু থেকে যায় সেটার দেখা আর মেলে না,৪/৫ গিগাবাইট এর মত, আমি ইউন্ডোজ সেভেন এর বিষয়ে বলছি অন্যান্য ইউন্ডোজের বেলায় সেটা হলে ও হতে পারে এবং আমি যতগুল সিস্টেমে হার্ড ডিস্ক পার্টিশন দিয়েছি আপনাদের কে যে সিস্টেম টা দেখাচ্ছি এই নিয়মে আমি সব ইউন্ডোজে হার্ড ডিস্ক এ পার্টিশন দেই এবং আজ অবধি দিয়ে যাচ্ছি।
শুরুতে দেখুন কি ভাবে ইউন্ডোজ-৭ সেভেন থেকে হার্ড ডিস্ক এর পার্টিশন তৈরি করবেন
এখানে দেখুন,ধরুন আপনার হার্ড ডিস্ক ৩০০গিগাবাইট এর মত, আপনি মার্কেট থেকে কিনে আনলেন এবং নিজে নিজে আপনার সিস্টেমে লাগিয়ে নিয়ে যখন ছিএে দেখানো পর্যন্ত আসলেন অথ্যাৎ নতুন হার্ড ডিস্ক যখন আপনি আপনার সিস্টেমে লাগাবেন তখন আপনাকে অবশ্যাই ইউন্ডোজ এর সিডি দিয়ে বুট করে এই পর্যন্ত আসতে হবে, এ ক্ষেএে পার্টিশন কারীর সামান্য ইউন্ডোজ ইন্সটল জ্ঞান থাকা জরুরি,এবার আমরা আমাদের হার্ড ডিস্ক কে পার্টিশন করার জন্য তৈরি হব শুরুতে হলুদ দাগ চিহ্নিত Format বক্স এ ক্লিক করে ফরম্যাট করে নিন আপনার হার্ড ডিস্ক কে, এখন আমাদের নতুন হার্ড ডিস্ক টি ফরম্যাট হয়ে গেল,এবং এখানে কোন পার্টিশন দেখা যাচ্ছেনা এবার আমরা তাকে পার্টিশন করব,এবং ক্লিক করুন খয়েরি রং এর বক্স এর মাজে New অপশনে পার্টিশন তৈরী করার জন্য।
এবার এখানে দেখুন
এবং পার্টিশন তৈরী করার জন্য কালো দাগের মার্ক করা বক্স এ Apply প্রেস করুন,পার্টিশনে কোন ভুল করে থাকলে ডিলেট বাটম প্রেস করলে ডিলেট হয়ে যাবে, ফরম্যাট বাটম প্রেস করলে ফরম্যাট হয়ে যাবে।এবার আপনি হিসেব করুন কোন পার্টিশনে আপনার কত টুকু স্পেস দরকার এখানে সবার আগে কিন্তু ( C: ) আসবে যেহেতু আপনার সবার আগে ইউন্ডোজ ইন্সটল দিতে হবে,বা অটোমেটিক এসে যাবে ( C: ) ড্রাইভ টি, ( C: ) ড্রাইভে শুধুমাএ আমরা ইউন্ডোজ ইন্সটল এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম সেট করে থাকি অনেকে এর বাইরে ও বিভিন্ন ফোল্ডারে সেটা করেন যখন দেখেন তার ( C: ) ড্রাইভটি পূর্ণ হয়ে গেছে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ধারা তাই ( C: ) ড্রাইভ কে সবসময় একটু বেশি স্পেস দিয়ে পার্টিশন করলে ভাল হয় যাতে পরবর্তীতে আমরা কোন সমস্যার সম্মুখীন না হই।
এখন আমরা পার্টিশন এর জন্য হিসেব করে দেখলাম যে আমাদের মোট হার্ড ডিস্ক স্পেস হল ৩০০,গিগাবাইট আর এই ৩০০শ কে ৪ভাগে ভাগ করে দেখলাম এবং প্রতি ভাগে পেলাম ৭৫,গিগাবাইট করে তবে আমি এতটুকু বা এত বেশি স্পেস আমার ( C: ) ড্রাইভে দরকার নেই বলে আমি মনে করি কারন এখানে শুধুমাএ আমার ইউন্ডোজ ফাইল গুল এবং আমার প্রোগ্রাম ফাইল গুল থাকবে সে ক্ষেএে ৪০/৪৫ হলে ও সেটা আমার জন্য বেশি এবং আমি তাই করবো।
এবার হলুদ দাগ দিয়ে মার্ক করা বক্স এর মাজে আমি আমার প্রথম পার্টিশন তৈরী করার জন্য নাম্বার বসাব আমি যেহেতু ৫০,গিগাবাইট নিচ্ছি আমার ( C: ) ড্রাইভ এর জন্য সে ক্ষেএে আমি এখানে লিখবো ৫০০০০,পঞ্চাশ হাজার প্রতি ১গিগাবাইট এর জন্য নির্ধারণ করবেন ১০০০এমবি,সেই হিসেবে আমার আসল ৫০০০০,হাজার এবং আমি ও তাই দিলাম এবার আমি কালো দাগের মার্ক করা বক্স এ
এবার Apply অপশনে ক্লিক করলাম এবং নিছে দেখুন
তাই এখানে একটি মাএ পার্টিশন বানালাম এবার ফরম্যাট প্রেস করুন এখন আপনি এবার আপনার ইউন্ডোজ সেটআপ দিয়ে নিন
এবার ধরুন আপনার ইউন্ডোজ সেটআপ হয়ে গেছে আপনার ৩০০,গিগাবাইট এর হার্ড ডিস্কে আপনি ব্যাবহার করেছেন মাএ ৫০,গিগাবাইট বাকি ২৫০,গিগাবাইট রয়ে গেল তাইনা,এবং ( C: ) ড্রাইভে কে ও দেখে আসতে পারেন সেখানে ( C: ) ড্রাইভ ছাড়া অন্য কোন ড্রাইভ দেখা যাচ্ছে কিনা আমি সিউর নেই কারন আমি পার্টিশন করেছি শুধুমাএ একটি ড্রাইভ ( C: ) বাকি গুল যখন করা হয়নাই তাহলে এখানে আমি দেখবো কি করে।
এবার আপনার নেট কানেকশন ব্যাবহার করতে পারেন এবং সমস্ত হার্ডওয়্যার এর সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করে নিতে পারেন চাইলে নতুবা পরে করেন এতে কোন বাধা বিপত্তি নেই।এবার আমার দেওয়া ছোট্ট এই সফটওয়্যার টি ইন্সটল করে নেন যার মাধ্যমে আপনি আপনার হার্ড ডিস্ক এর বাকি পার্টিশন এর কাজ করবেন এই সফটওয়্যার টি অনেক জনপ্রিয় এবং হার্ড ডিস্ক পার্টিশন এর ক্ষেএে এর কোন জুড়ি নেই,অত্যান্ত ভাল মানের একটি সফটওয়্যার যদি আপনার কাছে এর কপি পূর্বে থেকেই সংগ্রহে থাকে তাহলে সেটা দিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন নতুন করে ডাউনলোড করতে হবেনা এবং এটি হোম এডিশন এতে ফ্রি কাজ করা যায় কোন বিধি নিষেধ নেই তার নাম হল
http://www.easeus-software.com/download/epm.exe
আপনার সংগ্রহে যদি এর কপি না থাকে তাহলে ডাউনলোড করে নিন।
এবং ডাউনলোড শেষে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করে নিন এবং ইন্সটল শেষে ওপেন করুন এবং নিছে চিত্রের প্রতি লক্ষ্য করুন
দেখুন এই হল এর মুল ইন্টার ফেইস
আপনি যখন তাকে ইন্সটল শেষে ওপেন করবেন ঠিক এমনি দেখতে পাবেন,এখানে লক্ষ্য করুন নীল দাগ চিহ্নিত বক্স এর মাজে দেখুন উপরেএখানে দেখাচ্ছে *System Reserved 100MB এই ১০০এমবি থেকেই যাবে আপনার ইউন্ডোজের জন্য রিজার্ভ এবং এটাকে থাকতে ও দিন কোন সমস্যা নেই
এবার দেখুন ( C: ) আমি যখন ইউন্ডোজ আপলোড দেওয়ার সময় যে ৫০,গিগাবাইট এর পার্টিশন দিয়েছিলাম এই সেই ( C: ) ড্রাইভ।
এবং সবার নিছে দেখুন সবুজ রং এর বক্স এর মাজে Unallocated 416.83 GB.আমার হার্ড ডিস্ক হল ৫০০,গিগাবাইট এর তাই আমার ( C: ) ড্রাইভ পার্টিশন করার পরে আমার আর এই ৪১৬,৮৩ গিগাবাইট স্পেস বাকি আছে,
আরেকটি কথা আমি পূর্বে যানাতে ভুলে গেছিলাম সেটি হল আমাদের অনেকের মাঝে ভুল ধারনা আছে এবং এই নিয়ে পরবর্তীতে অনেকে ই দোকানে গিয়ে তর্কে ও জড়িয়ে যাই সেটি হল আপনি হার্ড ডিস্ক যত বেসি আর কম স্পেস এর নেন না কেন, এতে কিছু না কিছু জায়গা হার্ড ডিস্ক তার নিজস্ব দরকারে বাজেট রাখে যেমন দেখুন আমার ৫০০,গিগাবাইট এর হার্ড ডিস্ক এখন আমি ব্যাবহার করতে পারতেছি ৪৬৫,গিগাবাইট এর মত তাহলে আর বাকি স্পেস টুকু গেল কই
এবার আমি আমার এই ৪১৬,গিগাবাইট কে আরও ৩টি ভাগে ভাগ করবো, এবং ভাগ করার জন্য মাউস দিয়ে রাইট ক্লিক করবো Unallocated এর উপর
এবার এখানে দেখুন
এবং ক্লিক করবো ক্রিয়েট পার্টিশন এর মাজে নীল দাগ দিয়ে চিহ্নিত বক্সে
আবার নিছে দেখুন
এবার নিচের চিত্রে দেখুন
এবার আমার ফাইনাল চিত্রটি দেখুন
এবং যদি কিছু তে ভুল করে থাকেন তাহলে Undo/Redo তে ক্লিক করে পূর্বের অবস্তায় ফিরে যেতে পারবেন,এবং এই ভাবে আপনি আপনার পুরনো হার্ড ডিস্কের পার্টিশন ভেংগে নতুন ভাবে গড়তে ও পারবেন, যখন কোন পার্টিশন ডিলেট করতে চান এতে মাউস দিয়ে রাইট ক্লিক করে ডিলেট করবেন এবং গড়তে চাইলে কি ভাবে করবেন সেটা ও এতক্ষন ধরে জানিয়েছি।
এতে আরেকটি কাজ করতে পারবেন অথ্যাৎ যারা আপনার সিস্টেমের পার্টিশন নিয়ে বিপাকে আছেন তারা,এই ভাবে পার্টিশন করতে পারেন এতে আপনাকে পুনরায় ইউন্ডোজ ইন্সটলের ঝামেলায় পড়তে হবেনা,তবে মাস্ট সতর্কতার সহিত নতুবা আপনার সেভ ডাটা লস হয়ে যেতে পারে,জদি ও ব্যাকআপ নিতে পারবেন তবুও ঝামেলা এবং যখন পার্টিশন করবেন প্রথমে একটা ড্রাইভ থেকে অন্য ড্রাইভে ডাটা নিয়ে পরে আবার ডাটা অদল বদল করে করবেন,এবং প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্রিয়েট করে করে সিস্টেম রিস্টার্ট দিয়ে নেবেন,এতে আপনার বুজতে সহজ হবে।
যারা এক্সপি থেকে পার্টিশন করবেন তাদের জন্য ও সব কিছু অনুরুপ নিছে দেখুন আপনাদের জন্য একটি চিত্র দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিলাম এক্সপি থেকে কি ভাবে করবেন।
আশা করি কেউ কোন সমস্যা ছাড়াই আপনি আপনার নিজের সিস্টেম এর হার্ড ডিস্ক এর পার্টিশন ভাঙ্গা গড়া করতে পারবেন আমার এই ব্লগটির সাহায্য তারপর ও যদি কেউ কোন ধরনের সমস্যায় পড়ে যান আমাকে কমেন্ট করতে পারেন পিসি হেল্প লাইন এর মেইন ওয়েভ এর মাজে,আমার সর্বশেষ প্রকাশিত ব্লগ/পোস্ট এর মধ্যে এবং আমার বা পিসি হেল্পলাইনের ফেইস বুক এর মাজে আমাকে পাবেন ইনশাআল্লাহ।
যদি কোন ভুল ক্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যাই শুধরে নেবেন,এবং ক্ষমাই মহৎ এর লক্ষন, আমার কোন ব্লগ এর লিখা পোস্ট যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনি শেয়ার করতে পারেন আপনার ব্লগ বা সাইটে সে ক্ষেএে আপনাকে আমি স্বাগতম জানাই,তবে আমার নামটি আপনি আপনার ব্লগ বা সাইটে যে কোন অংশে রাখতে ভুলবেন না যেন এবং পিসি হেল্প লাইনে যেহেতু আমি নিয়মিত লিখছি সে ক্ষেএে তাদের নাম থাকাটাও অবশ্যাক।
আল্লাহ আপনাদের সহায় হউক এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে আমি আগামী দিনে আপনাদের কে আরও ভাল কিছু উপহার দিয়ে যেতে পারি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন